স্বাধীনতা ও মানবাধিকার নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতির
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সম্প্রতি বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারী। উনার মন্তব্যে দেশ জুড়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। প্রজাতন্ত্র দিবসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভাষন দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ভারতে অসহিষ্ণুতা বেড়েছে। তার দাবি, মুসলিমরা সুরক্ষিত নয়। তিনি বলেন,ভারত তার সাংবিধানিক মূল্যবোধ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
ইন্ডিয়ান-আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিল( আইএএমসি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন হামিদ আনসারী। আইএএমসি মূলত ভারত বিরোধী হিসেবেই পরিচিত। হামিদ আনসারী বলেছেন যে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এমন যাচ্ছে যা প্রতিষ্ঠিত নাগরিক জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে এবং সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে। জাতীয়তাবাদকে ব্যবহার করে হিংসা তৈরি করার চেষ্টা চালানো যাচ্ছে। ভারত সরকার চাই নির্বাচনী সংখ্যাগরিষ্ঠতাক ধর্মীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে উপস্থাপন করে এবং রাজনৈতিক ক্ষমতাকে একচেটিয়া বাড়তে।
এর ধরনের লোকেরা চায় তাদের বিশ্বাসের ভিত্তিতে মানুষ বিভক্ত হোক এবং হিন্দুত্ববাদী শক্তিকে জাগিয়ে তুলে দেশকে নিরাপত্তাহীনতার দিকে ঠেলে দিতে। এই কর্মসূচিতে আনসারীর কথা ভারতবিরোধী মার্কিন আইনপ্রণেতাকে সমর্থন ও পেয়েছে। মার্কিন আইন প্রনেতা এড মারকি, জিম ম্যাক গর্ভন,অ্যান্ডি লেভিন এবং জেপি রাস্কিন ও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এই তিনজন এখানে ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। সিনেটের এড মারকির এর আগেও ভারত বিরোধী কথা বলেছে। তিনি ওই কর্মসূচিতে বলেছেন, ভারত সরকার সংখ্যালঘদের টার্গেট করছে। এবং এমন পরিবেশ সৃষ্টি করছে যা অসহিষ্ণু। অ্যান্ডিলেভিন বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম গনতন্ত্র পিছিয়ে যাচ্ছে।
মানবাধিকার ও ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের ওপর হামলা বাড়ছে। এই বিতর্কিত মন্তব্যের পর অনেকে হামিদ আনসারীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেকে বলেন,বিদেশি শক্রদের সাথে দেশের প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনে হামিদ আনসারী এই সব কথা বলে প্রমাণ করেছেন তার কাছে দেশের সম্মান কিছু আসে যায় না।
প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে যার দায়িত্ব দেশকে একতার বার্তা দেওয়া সেখানে তিনি ভূল কথা পরিবেশন করে মানুষকে বিভাজিত করছেন। ভারতবর্ষের মতো দেশে এই রকম মানুষের থাকার থেকে না থাকা ভালো বলেও অনেক মত প্রকাশ করেছেন।