সবের ঘরে বিদ্যুৎ আমি অন্ধকারে
নিজস্ব প্রতিবেদক
সবের(সবার) ঘরে বিদ্যুৎ আর আমি অন্ধকারে থাই(থাকি)।দুনিয়ায় আল্লাহ ছাড়া আর কেউ নেই আমার, আমি অসহায়। কুপির তেল কিনতে পারিনা,আন্ধার ঘরে বসেই থাকি বাপু(বাবা)।ঠিক মতো খেতেও পাইনা।
কথা গুলো বলছিলেন ভোলার মানিকজান (৪৮)।লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের গজারিয়া রাস্তার মাথার মৃত জনু মালের স্ত্রী। স্বামী মারা গেছেন প্রায় ১৫ বছর আগে।দ্বিতীয় বিয়েও করেনি মানিকজান,একমাত্র মেয়েকে নিয়ে মৃত স্বামীর স্মৃতি নিয়ে পড়ে আছেন আজও।মেয়ের বিয়ের বয়স হয়েছে,কিভাবে বিয়ে দিবেন সেই চিন্তাও করছেন দিনরাত।
মানিকজান বলেন আগে মানুষের ফসল তুলে যা পেতাম তা জমিয়ে কোনো মতেই চলতো সংসার, এখন তো তাও নেই।
ঘরে কোনো খাবার নেই, কেউ সাহায্যও করছেনা। টাকা নেই বিদ্যুৎ আনবো কি দিয়ে।
ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের কাছে গিয়েছেন প্রশ্ন করতেই চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে অঝোরে কাঁদলেন তিনি।
বাবা অনেকবার গেছি চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের কাছে কেউ সাহায্য করেনি।আমাকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিয়েছে।কেউ একটা ভাতার কার্ড দিলোনা।মহিলা মেম্বারদের কাছে গেলে বিধবা ভাতার কার্ডের জন্য ৫ হাজার টাকা চায়,টাকা দিতে পারিনি নাম নেয়নি।
এ বিষয়ে খোঁজ নিতে ইউপি চেয়ারম্যান আবু ইউছুফ কে ফোন করলে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
সমাজে এভাবেই বছরের পর বছর অসহায়,ক্ষুধার্ত শরীর নিয়ে দিন পার করছেন মানিকজানরা।এরাও তো আপনার আমার প্রতিবেশী। সমাজে মাথা উঁচু করে আমাদের বেঁচে থাকাটাই হয়তো এদের জন্যই।আপনি সমাজপতি, আপনার একটু সহায়তায় এদের কোনো মতে বেঁচে থাকতে আশা জাগাবে।আর এই সহায়তাটাই যদি না পায়,খোঁজটাই না থাকে তাহলে কোনো এক রাতের আঁধারেই হারিয়ে যাবেন এক একজন মানিকজান।