শুক্রাণু বৃদ্ধির উপায়

স্বাস্থ্য ডেস্ক: আজকের লেখায় আমরা জানবো বীর্যে শুক্রাণু বৃদ্ধির উপায়, শুক্রাণু বৃদ্ধির ঔষধের নাম, স্পার্ম বৃদ্ধির ঔষধ, শুক্রাণু বৃদ্ধিকারক খাবার ও ব্যায়াম সম্পর্কে। যতই দিন যাচ্ছে মানুষের স্পার্ম কাউন্ট ক্রমশই কমে আসছে। সম্পর্কের গাড় বন্ধন বা স্বামী-স্ত্রীর মধুর সম্পর্কের মানেই হলো যৌন মিলন। কিন্তু যৌনসঙ্গমের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে স্পার্ম কাউন্ট হ্রাস বা শুক্রাণু সংখ্যা কমে যাওয়া।

শুক্রাণু বৃদ্ধির উপায়
শুক্রাণু বৃদ্ধির অন্যতম উপায় হল নিয়মিত পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার, ব্যায়াম করা, ধূমপান বা মদ্যপান না করা, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা না করা এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো। দ্রুত বীর্যপাত বা বীর্য পাতলা হয়ে যাওয়া আমাদের দেশের পুরুষদের একটি কমন সমস্যা। শতকরা ৮০ ভাগ লোকই এ সমস্যায় ভুগছেন। পুরুষের নানাবিধ সমস্যার কারণে বীর্য পাতলা হয়ে যায় বা শুক্রাণুর মাত্রা কমে যায়। সন্তান জন্মদানে অক্ষমতা, অধিক সময় সহবাস করতে না পারা, দ্রুত বীর্যপাত এই সমস্যা গুলোর মূল কারণ হচ্ছে বীর্য পাতলা থাকা বা শুক্রাণুর মাত্রা কমে যাওয়া।

শুক্রাণু বৃদ্ধির উপায়
শুক্রাণু বৃদ্ধির হোমিও ঔষধের নাম
গবেষণায় দেখা গেছে যে সকল পুরুষের বীর্য পাতলা, শুক্রাণু কম, অধিক সময় বীর্য ধরে রাখতে পারেন না, স্ত্রী সহবাসের সময় দ্রুত বীর্যপাত হয়ে যায় এ সকল সমস্যা দূর করার জন্য সেলেনিয়াম থ্রি এক্স (Selenium 3X) হোমিও ওষুধটি খুবই কার্যকরী।

শুক্রাণু বৃদ্ধির ঔষধের নাম
শুক্রাণু বৃদ্ধির হোমিও ঔষধের নাম সেলেনিয়াম থ্রি এক্স(Selenium 3X)। এই ঔষধটির প্রধান কাজ হচ্ছে বীর্যের ঘনত্ব বৃদ্ধি করা বা শুক্রানু বৃদ্ধি করা। নিয়মিত সেবনে বীর্যে স্পাম এর পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং সন্তান জন্মদানের সক্ষমতা সৃষ্টি করে। এছাড়াও সেলেনিয়াম থ্রি এক্স খেলে একজন পুরুষের মধ্যে বীর্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, যৌনাকাঙ্ক্ষা তৈরি হবে এবং যৌন দুর্বলতা গুলো দূর হবে।

Selenium3x ঔষধটি প্রতিদিন রাতে ২ টি করে ট্যাবলেট সেবন করতে হবে। অথবা আপনি যদি কোন ডাক্তারের থেকে ওষুধ টি সংগ্রহ করে থাকেন তাহলে সেই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে।

 

শুক্রাণু বৃদ্ধির হামদর্দ ঔষধ
শুক্রাণু বৃদ্ধির সবচেয়ে কার্যকরী ঔষধি হলো হামদার্দ এর স্পামার্টিন ঔষধটি। এ ওষুধের কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া নেই। একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের ক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে দুইটি ট্যাবলেট এবং রাতে দুইটি ট্যাবলেট খাওয়ার পর একসঙ্গে খেতে হবে। বয়স ১৮ বছরের নিচে হলে প্রতিদিন সকালে একটি ও রাতে খাবার পর একটি ট্যাবলেট খেতে হবে।

শুক্রাণু বৃদ্ধির খাবার কি কি?

পরিসংখ্যান বলছে ৩০-৫০ শতাংশ বন্ধ্যাত্বের জন্য দায়ী পুরুষরাই। তবে এর চিকিৎসা অবশ্যই আছে কিন্তু তা ব্যয় বহুল। তাহলে উপায়? শুক্রাণু বৃদ্ধির জন্য আপনার নিত্যদিনের খাবারের মেনুতে রাখুন পালং শাক, ব্রোকলি, ডিম, রসুন, ডার্ক চকলেট, কলা, গোজি বেরি, শতমূলী, আখরোট, কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তা বাদাম, চিনাবাদাম দুধ, মধু, খেজুর, ছোলা, ঝিনুক, অশ্বগন্ধা, ডালিম, কুমড়ো দানা, গাজর, মসুর ডাল, জিংক সমৃদ্ধ খাবার, গরুর মাংস, মেথি, অলিভ অয়েল বা জলপাই তেল, টমেটো, নানা প্রকার বেরি ফল ইত্যাদি।

শুক্রাণু বৃদ্ধির ব্যায়াম

গবেষণায় দেখা গেছে শুক্রাণুর বাড়ানোর খুব সাধারন সস্তা এবং কার্যকরী একটি উপায় হচ্ছে ব্যায়াম। প্রতিদিন যদি ৫০ মিনিট অ্যারোবিক এক্সারসাইজ করা যায় তাহলে তা শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়তে সাহায্য করে। একদিন নয়, বরং একটানা ১৬ সপ্তাহ এভাবে শরীরচর্চা করলে তবেই হাতেনাতে মিলবে ফল। তবে তার সঙ্গে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো প্রয়োজন।

শুক্রানু বৃদ্ধির ঔষধ এর চেয়ে বেশি কার্যকরী হলো শারীরিক ব্যায়াম এবং পুষ্টিকর খাবার। এতে যদি আপনার সমস্যার সমাধান না হয় তবে বিশেষজ্ঞ কোন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরী। মনে রাখবেন নিজে নিজে বাজার থেকে সস্তা কোন ওষুধ খেয়ে নিজের যৌন জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shares
Verified by MonsterInsights