শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি দৃষ্টিনন্দন গেইট এবং উপাচার্যের দায়বদ্ধতা
বেরোবি প্রতিনিধি:
উত্তরবঙ্গের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে একের পর এক সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।দেশে এবং বিদেশে নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।এই সাফল্যের পেছনে প্রতিষ্ঠানের অবদান অনস্বীকার্য।তবুও দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং উপাচার্য কতটুকুন সফল???প্রতিষ্ঠার একযুগেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং উপাচার্যগন একটি দৃষ্টিনন্দন গেইট স্থাপন করতে অসক্ষম হয়েছেন।বার বার সাংবাদিকদের উন্নয়নের কথা বললেও নানান অজুহাত দিয়ে এড়িয়ে যান এই প্রধান ফটকের স্থাপনের কথা।এই বিষয়ে ক্ষনে ক্ষনেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ ঝারতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। তাদের এই দাবি যেন প্রতিষ্ঠানটির সৃষ্টিলগ্ন থেকেই। সেই সাথে বার বার অবহেলার পরিচয় দিয়েছে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ এবং উপাচার্যগন।
রঙিন দুনিয়ায় ৩৮ বছরেও বাজিমাত প্রিয়াঙ্কা চোপড়াযেখানে প্রাইমারি স্কুলে সুদর্শন গেইট দেখা যায় সেখানে একটি সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে দৃষ্টিনন্দন গেইট না দেখতে পাওয়া অনেকটাই বেমানান।তাহলে কি এই গেইট স্থাপন না হওয়াকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং উপাচার্যের সদিচ্ছার অভাবকেই দায়ি করা যায়?? হ্যা পুরপুরিভাবে অনেক শিক্ষার্থীই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং উপাচার্যদের সদিচ্ছাকেই দায়ী করছেন।
এই ব্যাপারে কয়েকজন শিক্ষার্থীর বক্তব্য তুলে ধরা হলো;
মোঃ সুজন মোল্লা(মার্কেটিং বিভাগ) বলেন,
যেখানে দুই মাস ফুল গাছ রোপনের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা বাজেট হয়, সেখানে স্থায়ী প্রধান ফটকের জন্য বাজেট নেই অামাদের বেরোবিতে।মোঃ মোত্তালেব হোসেন(জিডিএস বিভাগ) বলেন,
একটা বাড়ির যদি দরজা না থাকে, তখন বাড়িটি বেমানান হয়ে যায়।একটা বাড়ির প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে গেট ঠিক তেমনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে ফটক৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেট ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় বেমানান এবং অপরিপূর্ণ৷তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে এই প্রধান ফটক নির্মান কাজ শুরু করার জোর দাবি জানাইফাহিম ইসলাম(ম্যানেজমেন্ট বিভাগ) বলেন,
ভার্সিটিতে গেইট স্থাপন করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে হবে।যেখানে এই করোনা ছুটির মধ্যে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের বিভিন্ন অবকাঠামোর কাজ করছে সেখানে বেরোবি কেবল রাস্তার কাজ করে যাচ্ছে,অথচ এই সময় গেটের কাজ ধরে শিক্ষার্থীদের চমক দিতে পারে ভার্সিটি প্রশাসন।ইসরাত জাহান(গণিত বিভাগ) বলেন,
দেশের উচ্চশিক্ষার সেরা প্রতিষ্ঠান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষাসহ বিভিন্ন দিকে সেরা হিসেবে তুলে ধরার জন্য অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন একটি গেট থাকা আবশ্যক। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে এটা আমাদের প্রাণের দাবি যেন একটা দৃষ্টি নন্দন গেট অতিসত্বর নির্মাণ করে বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও দৃষ্টি নন্দন করা হয়।বিভিন্ন সময় আরও জানা যায় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে উন্নয়নের নামে বড় অঙ্কের টাকা এদিক সেদিক করা হয়।এর আগের ভিসির আমলে চা নাস্তার বিলে লক্ষ টাকা ধার্য হয়েছিল যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল শিক্ষক-শিক্ষার্থী মহলে।দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীরা যতটা সফল ঠিক তেমনি বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন সাধনের জায়গাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং ভিসিগন ততটাই অসফল।তারপরেও সব আলোচনা-সমালোচনা ছাপিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রধান ফটক স্থাপনের দাবি এই প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীদের।