লালমোহনে জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

পর্ব-১

লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধিঃ

ভোলার লালমোহন উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাসুম বিল্লাহর বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি আর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

“সমগ্রদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ” প্রকল্পের বরাদ্দকৃত নলকূপ ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে সহায়ক চাঁদার নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

জানা যায়, “সমগ্রদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ” প্রকল্পের আওতায় (২০১৯-২০২০ অর্থবছরে) লালমোহন উপজেলায় মোট ২৩৪টি গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেয়া হয়। এসব নলকূপগুলো স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ওয়াটসান কমিটির মাধ্যমে সুধিধাভোগীদের মাঝে বণ্টন করা হয়েছে। তবে এসব নলকূপ পেতে সুবিধাভোগীদের কে ৭হাজার টাকা সহায়ক চাঁদা প্রদান করতে হবে। যা ব্যাংক ড্রাপট/পে অর্ডারের মাধ্যমে নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর জমা প্রদান করতে হবে।

এ ক্ষেত্রে কোন প্রকার নগদ লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও লালমোহন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাসুম বিল্লাহ এসব নিয়মের তোয়াক্কা না করেই গ্রহণ করছেন নগদ টাকা, সাথে সহায়ক চাঁদা ৭হাজারের স্থলে নিচ্ছেন ৮হাজার টাকা।

অভিযোগ সূত্রে জানায়, গত (১৫ জুন, সোমবার) নলকূপের সহায়ক চাঁদা দিতে আসা ১০জন গ্রাহকের কাছ থেকে ৭হাজারের স্থলে ৮হাজার টাকা করে সর্বমোট ৮০হাজার টাকা নিয়েছেন এবং এ কর্মকর্তা নিজেই নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে একসাথে ৭০ হাজার টাকা জমা দিয়েছেন।

নলকূপ প্রাপ্ত জাফর উল্যাহ, জসিম, মাসুদ, হাসানসহ একাধিক গ্রাহক জানান, তাদের কাছ থেকে ৭হাজারের স্থলে অতিরিক্ত ১হাজার টাকাসহ মোট ৮হাজার টাকা করে নিয়েছেন মাসুম বিল্লাহ। এ সময় সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সহায়ক চাঁদার চেয়ে কেন বেশি নেয়া হচ্ছে? এমনটা জানতে চেয়ে নলকূপ হারানোর হুমকি পেয়েছেন বলেও অভিযোগ তাদের।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে লালমোহন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাসুম বিল্লাহ জানান, ব্যাংক ড্রাফটে গ্রাহকগণ অনীহা প্রকাশ করার কারণেই নগদ অর্থ গ্রহণ করা হয়েছে।

তবে কারো কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ নেয়া হয়নি।
এদিকে উপ-সহকারী প্রকৌশলীর এমন অনিয়ম তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভূক্তভোগীসহ স্থানীয় সচেতনমহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shares