রামুতে কৃষকের ধান কেটে পৌঁছে দিল ছাত্রলীগ
কক্সবাজার প্রতিনিধি:
মহামারি করোনা ভাইরাসের আতংকে পুরো দেশ।প্রাণ বাঁচানোর তরে ঘরবন্দি সর্বস্তরের মানুষ। পেটে খাবারের টান পড়লেও শ্রমজীবী মানুষ প্রাণের ভয়ে গৃহবন্দি। এতে ধান কাটার সময়ে শ্রমিক সংকটে পাকা ধান ঘরে তুলতে না পারার চরম দুশ্চিন্তায় কৃষক মোহাম্মদ সেলিম ও মোহাম্মদ হাকিম আলী। কোন উপায় না পেয়ে হতাশায় ভুগছেন এই দুই কৃষক।এই দুই কৃষকের দুর্দিনে নিজেদের প্রাণের মায়া ত্যাগ করে লকডাউন উপেক্ষা করে পাশে এসে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক ও রশিদনগর ইউনিয় ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারণ-সম্পাদক মাসুক রানা মাহীন।মাহীন করোনার ঝুঁকি এড়িয়ে আরো ১৬ জন নেতাকর্মীকে সাথে নিয়ে ধান কাটতে চলে গেলেন রামু রশিদনগর ইউনিয়নের পানিরছড়া গ্যারেজ এলাকায় কৃষক মোহাম্মদ সেলিম ও মোহাম্মদ হাকিম আলীর পাকা ধানের মাঠে এবং কাস্তে হাতে নেমে পড়েন ধান কাটতে।
২০ এপ্রিল(সোমবার) ছাত্রলীগর ১৬ নেতাকর্মীকে নিয়ে ওই দুই কৃষকের দেড় কানি (৬০ শতক) জমির পাকা ধান কেটে ঘরে পৌঁছে দিলেন মাসুক রানা মাহিন সহ ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা।
কৃষক মোহাম্মদ হাকিম আলী বলেন, চৈত্রের ধান পাকার এই সময়ে আমি ও আমার ভাই এর দেড়কানি জমির ধান পেকে গেছে। কিন্তু করোনার ভাইরাসের কারণে কোন শ্রমিক পাওয়া যায়নি।অনেক চেষ্টা করেও কোনো শ্রমিক যোগাড় করতে পারিনি। অতিরিক্ত দামে কিছু শ্রমিক পাওয়া গেলেও নানা কারণে শেষ পর্যন্ত তারা ধান কাটতে আসেনি। এদিকে ধান পেকে নষ্ট হওয়ার উপক্রম। এতে আমি ও আমার ভাই দিশেহারা হয়ে পড়ি। আজ দেখলাম হঠাৎ একদল যুবক এসে আমার মাঠের পাকা ধান কাটছে।
তারা ধান কাটতে নামার পরই আমি খবরটি পাই। পরে আমরা দু’ভাই তাদের সাথে ধান কাটা শুরু করি।তারা দেড় কানি জমির ধান কেটে পরে বাড়িতেও পৌঁছে দেন। এতে আমরা অনেক খুশি হয়েছি।
এ প্রসঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা মাসুক রানা মাহীন বলেন,বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন। দেশের যেকোন ক্রান্তিলগ্নে ছাত্রলীগ প্রধান ভূমিকা রেখেছে।
সব সময় সাধারণ মানুষের স্বার্থের জন্যই রাজনীতি করে এসেছে। দেশ রক্ষার আন্দোলন ছাড়াও ব্যক্তি পর্যায়েও সব সময় ক্ষতিগ্রস্হ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বর্তমানেও আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সব সময় এমন নির্দেশনা দিয়ে রেখেছেন।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে শ্রমিক সংকটে পাকা ধান কাটতে না পারার খবর পেয়ে আমি রশিদনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ১৬ জন নেতাকর্মী গিয়ে কৃষক সেলিম ও হাকিম আলীর পাকা ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। এই কাজ করতে পেরে আমরা অনেক আনন্দিত ও গর্বিত।