যশোরে ২৪ টি হাটে কেনাবেচা হবে ৮০ হাজার কুরবানির পশু

যশোর প্রতিনিধি: ২৯ জুন ঈদুল আজহা। সময় ঘনিয়ে আসছে কোরবানির ঈদের। আর ঈদে যশোরে ৯০ হাজার পশুর চাহিদা রয়েছে। তবে জেলার খামারিদের কাছে চাহিদার তুলনায় পশুর মজুদ কম রয়েছে। ১৩১ খামারির কাছে পশু প্রস্তুত আছে ৮০ হাজার ৯৬টি। এ বছর জেলার মোট ৯ হাজারেরও বেশি খামারিরা ২৪টি পশুরহাটে কেনাবেচা করবেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের দাবি, খামারি পর্যায়ে মজুদ থাকা ৮০ হাজার ৯৬ পশুর মধ্যে ষাঁড়, বলদ, গাভী ও মহিষ ৩১ হাজার ২১টি। ছাগল ও ভেড়া ৪৯ হাজার ৭৫টি। যশোর সদরে ১০৪১ খামারির কাছে মজুদ আছে ১০ হাজার ৬৭৪টি পশু। এরমধ্যে ষাঁড় ২ হাজার ৩১৩, বলদ ৭৬, গাভী ১ হাজার ৫৫, ছাগল ৭ হাজার ২৩০টি।

ঝিকরগাছায় ৮৮১ খামারির কাছে মজুদ আছে ১২ হাজার ৪৩৭টি পশু। এরমধ্যে ষাড় ৩১৫০টি , বলদ ৭৩টি, গাভী ৫২৪টি, ছাগল ৮ হাজার ৬৯০টি। শার্শার ৯৩৮ খামারির কাছে মজুদ আছে ৬ হাজার ৭৫৪টি পশু। এরমধ্যে ষাড় ১ হাজার ৪৫৩টি, বলদ ৬৭২টি, গাভী ৭৮২টি, মহিষ ৩টি , ছাগল ৩৭৩০টি ও ভেড়া ১১৪টি।

মণিরামপুরে ২ হাজার ৯ খামারির কাছে মজুদ আছে ৯ হাজার ৮১৭টি পশু। ষাঁড় ৪ হাজার ৯৬৪টি, ছাগল ৪ হাজার ৮৫৩টি। কেশবপুরে ৫৪৩ খামারির কাছে মজুদ আছে ১০ হাজার ৩৫৯টি পশু। এরমধ্যে ষাড় ৩ হাজার ২৮৪টি, বলদ ৮৬টি, গাভী ৯২টি, ছাগল ৬ হাজার ৮৯৪টি ও ভেড়া ৩ টি।

অভয়নগরে ৫৯৩ খামারির কাছে মজুদ আছে ৭ হাজার ৯২৪টি পশু। এরমধ্যে ষাঁড় ১ হাজার ৪৫৭টি, গাভী ১১৭টি, ছাগল ৬ হাজার ৩৫০টি। বাঘারপাড়ায় ৬৪৩ খামারির কাছে মজুদ আছে ৭ হাজার ৩১৮টি পশু।

এ বছর অনলাইনে পশু কেনাবেচার সুযোগের পাশাপাশি পশু হাটে থাকছে ক্যাশলেস সুবিধা। ফলে, টাকা ছিনতাই, জাল টাকার আদান-প্রদান এবং টাকা বহন করার ঝামেলা পোহাতে হবে না ক্রেতা ও বিক্রেতাদের।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল হক জানান, ঘাটতি থাকা ৯ হাজার ৯০৪ টি পশুর সংকট কোরবানির ঈদের আগেই পূরণ হয়ে যাবে। অনেক বাড়িতে ছাগল পালন করে ঈদে কোরবানি দেয়া হয়। টার্গেটের চেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয়। কত সংখ্যক পশু কোরবানি হয় বাড়ি বাড়ি গিয়ে তার হিসেব নেয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shares
Verified by MonsterInsights