মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির ক্ষতি করছে ইউটিউব,প্যাট্রিয়ন এর মতো প্রক্রিয়া চালু হোক ভারতেও: পীযুষ দাস
শুভজিৎ দত্তগুপ্ত ,কলকাতা ব্যুরো
এস ভি এফ এন্টারটেইনমেন্ট এর হৈচৈ এর সংগীত রচনা করে দর্শক শ্রোতা মহলে নিজের স্থান করে নিয়েছেন রবীন্দ্রভারতীর সংগীত বিভাগের ছাত্র পীযুষ দাস। দীর্ঘদিন ধরেই সংগীত রচনা ,সুরকার এবং গায়ক রূপে তার তার প্রতিভা আকৃষ্ট করেছে শ্রোতাদের।
বং ষ্টুডিও ও রেডিও মির্চির যৌথ প্রয়াস থেকে দর্শক শ্রোতা দের নজরে আসা পীযুষ গায়ক রূপে শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয় হলেও গীতিকার রূপেই নিজের কর্মকান্ড চালিয়ে যাওয়া নিয়ে বেশী আগ্রহী পীযুষ মনে করেন ভালো গানের জন্য গানের কথা অতন্ত্য জরুরী কিন্তু বর্তমানে শিল্প ভাবনা কে গ্রাস করে নিয়েছে বাজার অর্থনীতি। সাধারণ শ্রোতারাও সাময়িক মনোরঞ্জনের দৃষ্টিকোন কেই বেশী গুরুত্ব দিচ্ছেন ,যার ফলে সংগীত জগতে সৃষ্টি গুলি হচ্ছে ক্ষণস্থায়ী, পুরো সংগীতের বাজার ই দখল করে আছে সিনেমার গান।
এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নতুন প্রতিভা দের বিকশিত হওয়ার পথে অন্যতম অন্তরায় হয়ে উঠছে ইউটিউব যার মাধ্যমে বিনামূল্যে সহজলভ্য সংগীত প্রাপ্তি তে অভ্যস্থ শ্রোতাগনের বেশীরভাগ অংশই সংগীতের জন্য কোনোরকম অর্থ ব্যয় করতে নারাজ , যারফলে সংগীত জগতেযারা প্রতিষ্ঠিত নন তারা পাচ্ছেন না তাদের প্রাপ্য পারিশ্রমিক। তাই সন্তানের সামাজিক সুরক্ষার কথা ভেবে নতুনদের সংগীত কে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার পথে অন্তরায় হচ্ছেন তাদের অভিভাবকরা ই। এই পরিস্থিতিতে পীযুষ ও তার সংগীত জগতের কিছু সহকর্মীরা সচেষ্ট ভারতেও প্যাট্রিয়ন এর মতো প্রক্রিয়া চালু করতে।
পীযুষ বলেন বিদেশে চালু থাকা প্যাট্রিয়ন প্রক্রিয়াতে শ্রোতা শিল্পী কে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী অর্থ প্রদান করেন ভারতে যদি কোনো গানের জন্য একজন শ্রোতা একটাকা করেও দেন তাহলেও তার মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ শিল্পীদের নিজেদের শিল্প কর্ম চালিয়ে নিয়েযেতে উৎসাহ প্রদান করেন। নিজের সাক্ষাৎকারে পীযুষ বলেন “আমি মনে করি এই প্রক্রিয়া চালু হলে শিল্পী দের আর্থিক দুরাবস্থা কিছুটা হলেও লাঘব হবে।
যদিও কোনো শিল্প সৃষ্টি কে টাকার অঙ্কে পরিমাপ করা সম্ভব নয় ,কিন্তু একটা সৃষ্টির মূল্য হিসাবে একটাকা প্রদান করে শ্রোতা -দর্শকরা তার শিল্পকর্ম কে প্রশংসা জানাতেই পারেন যা শিল্পীকে উৎসাহিত করবে তার সৃষ্টিশীল কাজ কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।