ভোলায় পাওনা টাকা চাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যবসায়ীকে নির্যাতন
ভোলা প্রতিনিধি: ভোলায় পাওনা টাকা চাওয়াতে হামলায় শিকার হয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মিনি সাব-ঠিকাদার। গত শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) ভোলা সদরে উকিল পাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটে। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগি সাদ্দাম হোসেন ভোলা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাদ্দাম হোসেন ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার হাজীগঞ্জ ইউনিয়ানের বাসিন্দা । তিনি তার বিশ্বস্ত বন্ধু জাফর তালুকদার কে বিভিন্ন সময়ে মোট ৫,৩০,০০০ টাকা ধার দেয়।
বার বার টাকা নিয়ে জাফর তালুকদার টাকা ফেরত দিতে নানান তাল বাহানা করে। জাফর ও তার ভগ্নিপতি কায়েদ খান পুনরায় আরও ৫ লাখ টাকা ধার চায় । ভুক্তভোগি সাদ্দাম হোসেন এবার টাকা দিতে অপরাগ প্রকাশ করলে জাফর তালুকদার তাকে ডাচ বাংলা ব্যাংক এর একটি ব্লাঙ্ক চেক দিয়ে পুনরায় টাকা ধার নেয়।
সাদ্দাম হোসেন আরো বলেন, আমি আমার পাওনা টাকা চাইতে গেলে, জাফর তালুকদার আমাকে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে নানা ভাবে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে ও আমার কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পাবে বলে দাবি করে। আমি বিষয়টি জাফর তালুকদারের ভগ্নিপতি কায়েদ খানকে জানাই এতে জাফর তালুকদারের ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। সে বিষয়টি মীমাংসার কথা বলে আমার বাসায় আসে এবং আমাকে মারধর করে ও বাসা থেকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঠিকাদারির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লুট করে নিয়ে যায়। বিষয়টি কাউকে জানাজানি করলে এই সমস্ত কাগজ পত্র নষ্ট করে ফেলবে বলে শাসায় এবং জোর পূর্বক ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পাবে এই মর্মে সাদা কগজে সাক্ষর করিয়ে নেয়।
এরপর গত ০২.০৯.২৩ তারিখে আমি নিজস্ব কাজে ভোলা সদর থেকে ফেরার পথে কায়েদ খানের পরোক্ষ নির্দেশে জাফর তালুকদার ও ভাগিনা বাচ্চু আমার পথ গতিরোধ করে এবং আমাকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। সেখানে তারা আমার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায় এবং আমার স্ত্রীকে দিয়ে আমার বাসা থেকে আমার ব্যঙ্কের চেক আনায় এবং সেখানে জোর পূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। আমাকে মূমুর্ষ অবস্থায় আমার বাংলাবাজার ভাড়া বাসায় ফেলে পৌছে দিয়ে বিষয়টি কাউকে জানালে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এই বিষয়ে কায়েদ খান ও অভিযুক্ত জাফর তালুকদারের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে তাদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি জানান, ভুক্তভোগী সাদ্দাম হোসেন নির্যাতিত হয়েছেন এই মর্মে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এবং এই বিষয়ে একটি মামালা দায়ের হয়েছ।