ব্রাহ্মবাড়িয়ায় তরুণীকে ধর্ষণের পর ছাদ থেকে ফেলে হত্যা

ব্রাহ্মবাড়িয়া প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মবাড়িয়া পৌরশহরের মধ্যপাড়া এলাকা থেকে লুবনা আক্তার (১৮) নামে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধারের পর হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।

দুই বন্ধু মিলে ধর্ষণের পর গলায় দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয় ওই তরুণীকে।

গত সোমবার (১৩ এপ্রিল) সকালে জেলা শহরের মধ্যপাড়া এলাকার নির্মল করের বাড়ি সামনে থেকে লুবনার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। লুবনা পৌরশহরের কাজীপাড়া এলাকার মুসলিম মিয়ার মেয়ে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন রেজা এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেন।

হত্যকান্ডে জড়িত রানা কর (৩০) ও নুপুর বসাক (৩২) নামে দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তাদের দুইজনের বাড়ি মধ্যপাড়া এলাকার বসাকপাড়া মহল্লায়।

নিহত লুবনার সঙ্গে নুপুরের পূর্বপরিচয় ছিল।  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন রেজা জানান, ঘটনা জানার পর সকালে আমি নিজেই ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত কাজ শুরু করি।

প্রথমে আমারা ওই তরুণীর পরিচয় পাইনি। পরে ওই তার পরিবার এসে লাশ শনাক্ত করে। লাশের পাশে একটি ভাঙা টব ছিল। গলায় রশি পেঁচানো থাকলেও আমরা নিশ্চিত ছিলাম এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।

তিনি বলেন, প্রথমে আমরা সন্দেহভাজন হিসেবে রানাকে আটক করি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রানা হত্যার কথা স্বীকার করে জানিয়েছে সে ও তার বন্ধু নুপুর মিলে ধর্ষণের পর লুবনাকে হত্যা করে ছাদ থেকে নিচে ফেলে দিয়েছে।

রানার বরাতে তিনি জানান, রবিবার রাতে নুপুর ফোন করে লুবনাকে রানার বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসে। এরপর রাত দেড়টার দিকে প্রথমে নুপুর এবং পরে রানা ধর্ষণ করে লুবনাকে।

ধর্ষণের পর গলায় দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ছাদ থেকে লুবনাকে নিচে ফেলে দেওয়া হয়।

কোনো প্রমাণ না রাখার জন্য লুবনার মোবাইল ফোনটি ভেঙে বাড়ির পাশে ড্রেনে ফেলে দেওয়া হয়।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার রানা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবান দিয়েছে এবং নুপুরকে গ্রেফতার করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shares