ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩ উপজেলার ৮টি গ্রাম লকডাউন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি :
করোনা সংক্রমণের সময় লাখো মানুষ জানাজার নামাজে অংশ নেওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩ উপজেলার ৮টি গ্রাম লকডাউনের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এসব গ্রামের বাসিন্দাকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব গ্রামের কেউ আগামী ১৪ দিন বাড়ি থেকে বের হলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
বিষয়টি জানিয়ে শনিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গ্রামগুলোতে মাইকিং করা হয়েছে।যে আট গ্রাম লকডাউন করা হয়েছে সেগুলো হলো- বেড়তলা, আশুগঞ্জ উপজেলার খড়িয়ালা, বৈগইর, মৈশাইর; সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের শান্তিনগর, সীতাহরণ, বড়ইবাড়ি ও সদর উপজেলার মালিহাতা।
লকডাউন করার খবর নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সরাইল (সার্কেল) মাসুদ রানা জানান, প্রশাসনের নির্দেশে গ্রামের বাসিন্দাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং তা বাস্তবায়নে ৮ গ্রামকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চত করতে এলাকাগুলোতে সার্বক্ষণিক পুলিশের টহল থাকবে। এসব গ্রামের কাউকে বের হতে দেওয়া হবে না। খোলা থাকবে না কোনো দোকানপাট। যে কোনো প্রয়োজনে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এ ঘটনায় সরাইলের ওসি শাহাদাত হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শনিবার সকালে লকডাউনের ভেতর লাখো মানুষের বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা জুবায়ের আহমেদ আনসারীর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় সরাইল উপজেলার বেড়তলা এলাকার জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসা মাঠে জানাজার আয়োজন হয়। মাঠে জায়গা না হওয়ায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের অন্তত কয়েক কিলোমিটার অংশে জানাজার নামাজ পড়েন কয়েক হাজার মানুষ।
এ ঘটনার খবর ও ছবি অনলাইন মিডিয়ায় প্রকাশ পেলে সমালোচনার ঝড় উঠে। করোনা সংক্রমণের আতঙ্কের মধ্যে কয়েক হাজার মানুষের জানাজার ছবি সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।