বিজেএস-ইএমকের ফেলোশিপ প্রোগ্রাম সম্পন্ন

অমিত বণিক, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: সনদ প্রদানের মধ্য দিয়ে এডওয়ার্ড মারো কেনেডি (ইএমকে) সেন্টারের পৃষ্ঠপোষকতায় সাংবাদিকদের জন্য আয়োজিত ফেলোশিপ প্রোগ্রাম সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশি জার্নালিস্টস ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়ার (বিজেআইএম) অলাভজনক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিল্ডিংঅ্যাসেটস জার্নালিজম স্কুল (বিজেএস) দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত ৪০ সাংবাদিক নিয়ে গত ৫ জুন এই ফেলোশিপ প্রোগ্রামটি শুরু করে।

শনিবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডির ইএমকে সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ৪০ জন সংবাদকর্মীর হাতে তুলে দেওয়া হয় ফেলোশিপ সম্পন্ন করার স্বীকৃতি। এছাড়া, প্রথম তিনজনকে দেওয়া হয় আকর্ষণীয় ক্রেস্ট।

ফেলোশিপ প্রোগ্রামে প্রথম হয়েছেন দৈনিক বিজনেস স্টান্ডার্ড পত্রিকার নাঈম আলী, দ্বিতীয় হয়েছেন ডেইলি স্টারের মো, আসাদুজ্জামান এবং তৃতীয় হয়েছেন প্রথম আলোর মো. মিনহাজুল আবেদীন রিয়াজ চৌধুরী।

রয়টার্সের সাংবাদিক রফিকুর রহমান অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন। আরও উপস্থিত ছিলেন বিজেএসের প্রিন্সিপাল রেদওয়ান আহমেদ এবং বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠন বিজেআইএম এর আহ্বায়ক স্যাম জাহান।

এবারের ফেলোশিপ প্রোগ্রামের শিরোনাম ছিল ‘উন্নত সাংবাদিকতার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা’। এই কর্মশালায় সাতটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এগুলো হলো- মোবাইলফোন সাংবাদিকতা, গল্পবলা ও সংবাদ উৎস সংগ্রহ ও সংরক্ষণ, সংবাদ নীতি ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা, দীর্ঘলেখনী সাংবাদিকতা, ভুয়া নিউজ ও ভুল তথ্য খুঁজে বের করার সাধারণ কিছু নিয়মাবলী, বহুমুখী সাংবাদিকতা ও প্রতিকূল পরিবেশে সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণ। বিষয়গুলো সম্পর্কে হাতে-কলমে শিক্ষা নিয়েছেন ফেলোশিপে অংশগ্রহণ করা সাংবাদিকরা। এমন প্রোগ্রামের মাধ্যমে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার পরিবেশ সৃষ্টি হবে বলে প্রত্যাশা করেন আয়োজকরা।

বিজেআইএম এর আহ্বায়ক স্যাম জাহান বলেন, সফল ফেলোশিপ প্রোগ্রামের মধ্য দিয়ে গণমাধ্যমের জন্য আসন্ন অনেকগুলো উপকারী ইভেন্টের শুরু হলো। আমাদের সাংবাদিকতার প্রকৃত সারমর্ম চালিয়ে যেতে হবে এবং এই ধরনের প্রোগ্রামগুলো সেই বোঝাপড়াকে বাড়িয়ে দেবে।

কর্মশালার প্রশিক্ষক ছিলেন- এএফপির ব্যুরোপ্রধান শফিকুল আলম, প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি রোজিনা ইসলাম, আল-জাজিরার প্রতিনিধি ফয়সাল মাহমুদ, এএফপি ফ্যাক্টচেক সম্পাদক কদরউদ্দিন শিশির, ডিডব্লু একাডেমি প্রশিক্ষক মাকসুদা আজিজ, পুলিৎজারজয়ী একমাত্র বাংলাদেশি সাংবাদিক মোহাম্মদ পনির হোসেন এবং আন্তর্জাতিক পুরষ্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক স্যাম জাহান।

ফেলোশিপপ্রাপ্ত সাংবাদিকরা হলেন- আবদুল্লাহ আল জোবায়ের, মো. মিনহাজুল আবেদীন রিয়াজ চৌধুরী, কাজী মুস্তা‌ফিজ, ঝুমুর সাহা, নাসিমুল আহমেদ শুভ, সাইমুন মুবিন পল্লব, মনিরুজ্জামান মনির, মোঃ সবুজ মাহমুদ, মারজিয়া হাশমি মুমু, মো. হেদায়েত উল্লাহ, মো. আরশাদ আলী, মো. সাজ্জাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, রাফিয়া খানম চৌধুরী, গোলাম রব্বানী, মো. মিরাজ হোসেন, মো. সাহাবীর মিয়া (বীর সাহাবী), শেখ শাহরুখ ফারহান, ফারিজা সাবরিন, এম এম হাশমি সরকার, ফৌজিয়া সুলতানা, নাঈম আলী, মো. তানজিল আহমেদ, মো. ওসমান গণি, মো. তাজনুর ইসলাম, তাসলিমুল আলম তৌহিদ, শোয়েব আব্দুল্লাহ, শরীফা সুলতানা, মাহফুজুর রহমান মানিক, স্টেফান রোজারিও উত্তম, ফারহানা হক, নূর মোহাম্মদ, অমিত বণিক, নাজমুস সাকিব, মো. আসাদুজ্জামান, মো. মারিফুল হাসান, ইফফাত জাহান, কেরী আশীর্বাদ বিশ্বাস, ইয়াসির আরাফাত ও হাসান আল মানজুর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shares
Verified by MonsterInsights