বাজুস শেরপুরের নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ

শাহরিয়ার মিল্টন,শেরপুর : বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) শেরপুর জেলার নব-নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৭ মে) বিকেলে স্থানীয় উৎসব কমিউনিটি সেন্টারে এ অভিষেক ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নব-নির্বাচিত কমিটির কর্মকর্তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান এবং ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেন বাজুস কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি ও ডিস্ট্রিক্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায়। এ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন, বাজুস প্রেসিডেন্ট ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের নেতত্বে বাংলাদেশে আজ জুয়েলারি শিল্প ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।

আমরা ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ নামে স্বর্ণশিল্পে আমদানিকারক দেশ থেকে রপ্তানিকারক দেশ হতে চাই। গার্মেন্টস শিল্পের মতো রপ্তানি আয়ের মাধ্যমে দেশের জিডিপিতে অবদান রাখতে চাই। এজন্য বাজুসকে নতুনভাবে সাজানোর চেষ্টা চলছে। সব জুয়েলারি ব্যবসায়ীকে আমরা বাজুসের
ছায়াতলে এক ছাতার নিচে আনতে কাজ করে যাচ্ছি। এরই ধারাবাহিকতায় শেরপুর জেলাতেও বাজুসের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে। তিনি নতুন কমিটির কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, দুই বছরের জন্য এই কমিটি নির্বাচিত হয়েছে। নতুন কমিটির দু’টি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো- কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন করা আর কোনো সদস্য বিপদে পড়লে তার পাশে দাঁড়ানো।

এজন্য তিনি সবাইকে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। অভিষেক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাজুস শেরপুর জেলা শাখার নির্বাচন
পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও বাজুস ডিস্ট্রিক্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি ময়মনসিংহ জেলা বাজুসের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার ঘোষ। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- বাজুস কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মো. রিপনুল হাসান, কার্যনির্বাহী সদস্য পবিত্র চন্দ্র ঘোষ, ময়মনসিংহ জেলা কমিটির সভাপতি এম এ রকীব প্রমুখ।

সহ-সভাপতি মো. রিপনুল হাসান তার বক্তব্যে বলেন, সারাদেশে বাজুসকে একটি গতিশীল সংগঠনে পরিণত করতে প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যে সারাদেশের সদস্য সংখ্যা ১২ হাজার থেকে আমরা ৪২ হাজারে উন্নীত করেছি। তিনি বলেন, সামনের দিনে বাজুসের সদস্য না হলে কেউ জুয়েলারি ব্যবসা করতে পারবেন না। কারণ সদস্য ছাড়া কারো পাশে বাজুস দাঁড়াবে না। আমরা স্বর্ণ ব্যবসায় অসৎ, চোরাকারবারি বন্ধ করতে চাই।এজন্য সংগঠনকে শক্তিশালী করার কাজে মনোযোগী হয়েছি।

অভিষেক অনুষ্ঠানের শুরুতে শেরপুর জেলা শাখার নতুন কমিটির সভাপতি মো. ইলিয়াছ আলী ও সাধারণ সম্পাদক সজল কর্মকার কেন্দ্রীয় নেতাদের ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেন। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের ক্রেস্ট উপহার ও উত্তরীয় পরিয়ে সম্মাননা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে শেরপুর জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী মিয়াসহ প্রয়াত স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। অভিষেক অনুষ্ঠান শেষে রাতে আমন্ত্রিত শিল্পীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) শেরপুর জেলা কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৩১ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি পদে মো. ইলিয়াছ আলী ও সাধারণ সম্পাদক সজল কর্মকার নির্বাচিত হন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shares
Verified by MonsterInsights