বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ৩ গ্রামের মানুষের ভরসা ঝুঁকিপূর্ণ ভাঙ্গা পুল

শেখ সাইফুল ইসলাম কবির,বাগেরহাট প্রতিনিধি

মোরেলগঞ্জে  দুটি ইউনিয়নের সিমান্তবর্তী বিষখালী খালের ভাঙ্গা পুলটি ৩ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরস। শিক্ষার্থীসহ জনসাধারনের চলাচলে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের অন্ত নেই।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মোরেলগঞ্জ উপজেলার দৈবজ্ঞহাটী ইউনিয়নের সিমান্তবর্তী অপরপ্রান্তে রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের মধ্য কচুবুনিয়া গ্রাম। এ পারে রয়েছে শাখারি কাঠি, খালকুলিয়া দুটি ইউনিয়নের ৩ গ্রামের ৬/৭ হাজার মানুষের প্রতিনিয়ত চলাচলের একমাত্র মাধ্যম ভাঙ্গা একটি কাঠের পুল। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে এভাবে জরাজীর্ণ পুলটি দাড়িয়ে রয়েছে। প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে শিশু শিক্ষার্থীসহ তিন গ্রামের মানুষের।
এ পুল পার হয়ে যেতে হচ্ছে দৈবজ্ঞহাটী, সেলিমাবাদ কলেজ, দু’টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দু’টি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ গ্রাম্য হাট বাজারগুলোতে। এ ভাঙ্গা পুলটি দুই ইউনিয়নের সিমান্তবর্তী হওয়ার কারনে ইউপি চেয়ারম্যানদের রশিটানিতে পড়েছে জনসাধারণ। গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নে প্রতিবছর ইউনিয়ন পরিষদে বরাদ্ধ হলেও অদ্যবদি দু’ই ইউপি চেয়ারম্যান নজর দেননি এ পুলটির পুর্ন নির্মাণের জন্য।

স্থানীয় পথচারি রুস্তুম শেখ(৫৫), এইচএম সুলাইমান(২১), বুরুজান বিবি (৬৫), শিশু শিক্ষার্থী জোবায়দাসহ একাধিক বাসিন্দাদের অভিযোগ দেখার যেনো কেউ নেই? প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে এ পুলটি থেকে। ইতোমধ্যে বর্ষা মৌসুমে পুল থেকে পড়ে আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে অন্তত ১০-১৫ জন। এ দুর্ভোগের শেষ কোথায়?।

স্থানীয় বাসিন্দা মান্নু শেখ জানান, ইতোপূর্বে সাবেক সংসদ সদস্য প্রায়াত ডা. মোজাম্মেল হোসেনের নির্দেশনা মোতাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে পুলটি পুর্ণ নির্মাণের জন্য পরিমাপ করে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে কাজের আর কোন অগ্রগতি নেই। জরাজীর্ণ এ ভাঙ্গা পুলটি পুর্ন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের প্রতি জোর দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।

এ ব্যাপারে রামচন্দ্রপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম বলেন, তিনি নির্বাচিত হয়ে আশার পরে গত বছরে পরিষদ থেকে স্বল্প বরাদ্ধে সংস্কার করা হয়েছিলো পুলটি। তবে, পূর্বের এমপি মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক পুলটি পুর্ননির্মাণের জন্য পিআইও দপ্তর থেকে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। মাসিক সমন্বয় সভায়ও এ বিষয়ে একাধিকবার উত্তোলন করা হয়েছে।

এ সর্ম্পকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন বলেন, জরাজীর্ণ এ পুলটির বিষয়ে ইতোপূর্বে পরিমাপ করে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্ধ হলে পুর্ন নিমার্ণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shares