বাগদা-গলদা বাদ দিয়ে ভেনামি চিংড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভেনামি চিংড়ি একটি উচ্চফলনশীল চিংড়ি। এটি পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের একটি প্রজাতি। দ্রুত বর্ধনের পাশাপাশি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য এটি এখন সারাবিশ্বে ব্যাপক ভাবে চাষ করা হয়। বর্তমানে পৃথিবী জুড়ে উৎপাদিত চিংড়ির ৮০%ই ভেনামি চিংড়ি। ভেনামি চিংড়ির ইংরেজি নাম হোয়াইট লেগ শ্রিম্প বা সাদা পায়ের চিংড়ি। এ চিংড়ির শুধু পা দেখতে সাদা এমন নয় পুরো চিংড়ি দেখতে কিছুটা সাদা। অনেকটাই স্থানীয় জাতের হরিনা চিংড়ির মতো।

১৯৭০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে হাওয়াইয়ে প্রথম পরিচিতি পায় এ প্রজাতির। ১৯৮০ সালের দিকে এ চিংড়ির বাণিজ্যিক ভাবে চাষ শুরু হয়। বাণিজ্যিক চাষ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৬২টি দেশে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। এশিয়ার দেশ রয়েছে ১৫টি দেশের চাষ হয় এ চিংড়ির। বাংলাদেশে বেশকিছু আগ পর্যন্তও নিষিদ্ধ ছিল এই চিংড়ি চাষ। কিন্তু বিশ্বের বাজার পরিমাপ করে এখন এই চিংড়ির উৎপাদন করার অনুমতি দেয় মৎস্য বিভাগ!

২৯ মার্চ ২০২৩ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রাণালয় থেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ভেনামি চিংড়ির চাষের অনুমতি দিয়ে মৎস্য বিভাগের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। ১ এপ্রিল ২০২৩ দেশে পরীক্ষামূলক ভেনামি চিংড়ি চাষের অনুমতি মিলে।

ভেনামি চিংড়ি পোনা ছাড়ার ৮০ দিনের মধ্যে গড়ে প্রায় ৩০-৩২ গ্রামের অজন হয়। এটাকে ৮০ দিনের মধ্যেই বিক্রি করা সম্ভব। অন্যদিকে বাগদা কিংবা গলদা বিক্রয়যোগ্য হতে সময় নেয় ১২০ দিনের মতো। প্রতি একরে ভেনামি চিংড়ি পাওয়া যায় প্রায় ৪০০০ কেজি, যেখানে বাগদা পাওয়া যায় মাত্র ২০০০ কেজি এবং গলদা পাওয়া যায় আরো কম। এজন্য চাষীরাও ঝুকছেন ভেনামি চিংড়ি চাষের দিকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shares
Verified by MonsterInsights