বাউফলে প্রতিবন্ধীর বসত ঘর দখল চেষ্টার অভিযোগ!
বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:পটুয়াখালীর বাউফলে একটি প্রতিবন্ধী পরিবারকে তাড়িয়ে বসত ঘর দখল করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার বাউফল উপজেলার সূর্যমনি ইউনিয়নের ইন্দ্রকূল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বসত ভিটে ফেরৎ পেতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বাউফল উপজেলার সূর্যমনি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড ইন্দ্রকুল গ্রামের মৃত্যু আলাউদ্দিন হাওলাদারের প্রতিবন্ধী ছেলে মোঃ রেজাউল করিম তার পৈতৃক ঘরে বসবাস করে আসছেন। গত কয়েক মাস পূর্বে রেজাউল তার ঘর তালাবদ্ধ করে ঢাকা বোনের বাসায় বেড়াতে গেলে একই বাড়ির চাচাতো ভাই হুমায়ুন কবির ওই জমি নিজের দাবি করে বসত ঘরে ডাবল তালা লাগিয়ে দেন। কিছুদিন পর রেজাউল বাড়ী ফিরে তার বসত ঘরে তালা লাগানো দেখতে পেয়ে স্থানীয় সালিশদের দ্বারস্থ হন। সুরাহা না হওয়ায় গত বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে প্রতিবন্ধী রেজাউল করিমের বোন পপি আক্তার বলেন, আমার বোন শারমিন নাহার শিউলি একই বাড়ীর হুমায়ুন কবিরের কাছে কিছু নালী জমি বিক্রি করেছে। সেই দলিলে আমার বাবার বসত ঘরের জমির দাগ উল্লেখ নেই। ওরা খুব প্রভাবশালি হওয়ার কারণে আমার প্রতিবন্ধী ভাই ও আমাদের তাড়িয়ে আমার বাবার উঠানো ঘর ও সম্পূর্ন জমি দখল করে নিতে চায় হুমায়ুন কবির ও তার ছেলে মোস্তাফিজ। বসত ভিটে ফেরৎ পেতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে আবেদন করেছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হুমায়ুন কবিরের সাংবাদিকদের বলেন, ওই জমি ওয়াকফেকৃত। আর ওয়াকফে সম্পত্তি মেয়েরা পায় না। রেজাউল নামের যিনি আমার চাচাতো ভাই পরিচয় দিচ্ছেন তিনি আমাদের চাচার সন্তান নয়।
এ বিষয়ে সূর্যমনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বাচ্চু বলেন, এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আল আমিন স্যার সরে জমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য আমাকে বলে। আমি ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে হুমায়ুন কবির ও তার ছেলে মোস্তাফিজ প্রতিবন্ধী রেজাউলের ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখার সত্যতা পাই। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিমাংশার কথা বলে হুমায়ুন কবির সময় নিয়ে আর আসেনি। বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারে কাছে ঘটনাটি লিখিত ভাবে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল আমিন বলেন, এবিষয়টি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বাউফল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, আমরা নির্দেশ পেয়েছি। বিষয়টি তদান্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।