বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিয়োগে যাচাইয়ের আহ্বান
অনলাইন ডেস্ক: হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) বলেছে, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতনের জন্য জাতিসংঘের উদ্বেগ প্রকাশ করা উচিত। জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জিন পিয়েরে ল্যাক্রোইক্সের আসন্ন বাংলাদেশ সফরে এ উদ্বেগ জানাতে আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটি। বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের যাচাই-বাছাই বাড়াতেও জাতিসংঘের কাছে আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষাবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জিন পিয়েরের আগামী ২৫ জুন বাংলাদেশ সফরে আসার কথা রয়েছে। সফরের প্রাক্কালে এ বিবৃতি এলো।
সোমবার (১২ জুন) বিবৃতিতে এইচআরডব্লিউ বলেছে, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষাবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারির সফর এমন সময়ে হতে যাচ্ছে, যখন বিরোধী রাজনীতিক, প্রতিবাদকারী ও গুমের শিকার মানুষদের পরিবার এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ওপর বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী, বিশেষ করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) দীর্ঘ দিন ধরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশকে শান্তিরক্ষী বাহিনীর শীর্ষ অবদানকারী দেশ হিসেবে ভূমিকা অব্যাহত রাখতে হলে জাতিসংঘে মানবাধিকার যাচাই নীতি যথাযথভাবে প্রয়োগ করার বিষয়ে জিন পিয়েরেকে জোর দিতে হবে। জাতিসংঘের পাশাপাশি সরকারগুলোকেও নিশ্চিত করতে হবে– শান্তিরক্ষায় কর্মরতরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত নয়। বাংলাদেশের ক্ষেত্র উচ্চ পর্যায়ের নিয়োগে জাতিসংঘ যাচাই নীতি প্রয়োগ করে। বাকি নিয়োগে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ওপর নির্ভর করে। তবে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এখতিয়ার সীমিত।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে এ যাচাই নীতির দুর্বল প্রয়োগ এ বার্তাই দিচ্ছে– মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত হয়েও জাতিসংঘে কাজ করার সুযোগ থেকে বিরত রাখা যায় না। এটি জাতিসংঘের জন্য একটি নৈতিক বিপদ।
এতে বলা হয়, জাতিসংঘের শান্তি কার্যক্রম দপ্তর থেকে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের মানবাধিকার যাচাই নীতি প্রক্রিয়া জোরদার করতে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে আগেও জিন পিয়েরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। এর জবাব এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে দেননি তিনি। সেই সঙ্গে র্যাবের সঙ্গে সম্পৃক্ত কাউকে জাতিসংঘে মোতায়েন নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছিল মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে।
বিবৃতিতে বলা হয়, মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনতে বাংলাদেশ ব্যর্থ হয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের জন্য অখণ্ডতার জন্য এটি হুমকি সৃষ্টি করেছে। র্যাবের সঙ্গে সম্পৃক্তদের শান্তিরক্ষা মিশনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিষিদ্ধের দাবি করেছে এইচআরডব্লিউ।