পাঁচবিবিতে বিজিবি সদস্যের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার
পাঁচবিবি(জয়পুরহাট) সংবাদদাতা: জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে নেপাল দাস (৩৫) নামের এক বিজিবি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। নিহত নেপাল দাস জয়পুরহাট ২০ ব্যাটালিয়নের বিজিবির সিপাহী। তার বাড়ি ফরিদপুর জেলার মধুখালি মেঘচামী এলাকার নারায়ণ দাসের ছেলে। বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। সে পাঁচবিবি বিজিবির বিশেষ ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে জয়পুরহাট ২০ ব্যাটালিয়নের দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে
যোগাযোগ করলেও কেউ মুখ না খোলায় প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। তবে একটি গোয়েন্দা সংস্থা
জানিয়েছে,বিজিবির সিপাহী নেপাল দাস পাঁচবিবি বিশেষ ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার
রাতে ডিউটিরত অবস্থায় দুই সদস্যে মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে নেপাল দাসকে গুলি করা হয়।
বিজিবি সদস্যরা দ্রুত তাঁকে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন।এসময় জরুরী বিভাগের চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষনা করে।
জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের রেজিষ্টার খাতার ১৯৫ নং পাতায় দেখা যায়,নিহত নেপাল দাসকে জয়পুরহাট ২০ ব্যাটালিয়নের বিজিবি সদস্য হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। নিহত বিজিবি সদস্যের গায়ে রক্তাত্ত পোশাক রয়েছে।
এরপর বিজিবি সদস্যরা হাসপাতালের মর্গে মরদেহ রেখে নিজেরা পাহারা দিচ্ছিলেন। আজ শুক্রবার(১৮ নভেম্বর) সকালে ময়না তদন্ত শেষে বিজিবি সদস্যরা এ্যাম্বুলেন্সকরে মরদেহ বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে যায়। এসময় মরদেহের সঙ্গে থাকা বিজিবি সদস্যরা জানায়, প্রেস
ব্রিফিংয়ে বিষয়টি জানানো হবে।জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের তত্ত্ববাবধায়ক সরদার রাশেদ মোবারক জানান, তাঁর বুকে ও ডান হাতে জখমের চিহ্ন রয়েছে।
জয়পুরহাট সদর থানার ভাররপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটায় বিজিবির পোশাক পরা অবস্থায় এক ব্যক্তির লাশ হাসপাতালে আনা হয়েছে বলে খবর পেয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। ওই ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। লাশের বুকে গুলির চিহ্ন রয়েছে। লাশের সুরহতাল প্রতিবেদন করা হয়েছে।
২০ বিজিবি জয়পুরহাট ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল রফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।