পদোন্নতি পাচ্ছেন ১০০ যুগ্মসচিব
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের দফায় দফায় সভা হয়েছে। এই বোর্ডের সভাপতি মন্ত্রিপরিষদ সচিব। চুলচেরা বিশ্লেষণ করে মেধা-যোগ্যতার দিকটি সর্বোচ্চ বিবেচনায় নিয়ে পদোন্নতির তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে—এমন দাবি সংশ্লিষ্টদের। তবে আগে কিছু দিন পরপর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে-বিপক্ষে কর্মকর্তা এবং তার পরিবারের অবস্থান সম্পর্কে জানা হতো। এখন নাকি সেটির আর প্রয়োজন নেই বলে কেউ কেউ বলছেন।
জানা যায়, এবার চলতি সপ্তাহে পদোন্নতিপ্রাপ্তদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে গতকাল পর্যন্ত অবশ্য সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়নি। আজ পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ, প্রায় চার বছর ধরে যুগ্মসচিবের পদে চাকরি করার পর ১৫তম ব্যাচকে অতিরিক্ত সচিব করা হচ্ছে। সাধারণত দুই বছর হলেই অতিরিক্ত সচিব করার দৃষ্টান্ত রয়েছে।
পদোন্নতিকে ঘিরে অবশ্য প্রশাসনে দ্বিমুখী সংকট দীর্ঘদিনের। একদিকে পদোন্নতির যোগ্য কর্মকর্তার সংখ্যা বাড়ছে, কিন্তু সে তুলনায় পদসংখ্যা না বাড়ানোয় এ নিয়ে প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি হয়। বলা হচ্ছে, পদোন্নতি ওপরের দিকে ন্যাঘ্য কারণেই দিতে হচ্ছে, কিন্তু মাথায় জট লেগে যাচ্ছে তা দূর করার কোনো উদ্যোগ নেই। পদোন্নতি পাওয়ার পরও অধস্তন পদেই কাজ করতে হচ্ছে বছরের পর বছর। বিশেষ করে, উপসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পর্যন্ত এ ধরনের অব্যবস্থাপনা বেশি। অনেকের বসার জায়গা পর্যন্ত নেই। কাচ দিয়ে ঘেরা ছোট ছোট খুপরির মধ্যে বসে অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিবদের কাজ করতে হয়। এটা নিতান্তই পরিবেশগত দিক থেকে কাজের অনুকূল নয়—বলছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, প্রশাসনে ৮৫০টি উপসচিবের পদের বিপরীতে এখন কর্মরত কর্মকর্তার সংখ্যা ১ হাজার ৭২০ জন, যুগ্মসচিবের ৪০০টি পদের বিপরীতে কর্মরত ৭৫২ জন, অতিরিক্ত সচিবের ১০২টি পদের বিপরীতে কর্মরত ৪০৬ জন।
প্রশাসন বিশেষজ্ঞরা পরিস্হিতি সামাল দিতে বড় সংস্কারের তাগিদ দিলেও সেদিকে তেমন নজর নেই কারো। বরং প্রতিদিন পার করতে পারাটাই যেন বড় অগ্রাধিকার।