দৌলতখানে বাক প্রতিবন্ধী যুবতীকে একাধিকবার ধর্ষণ ও অবৈধ গর্ভপাত
এম এ আশরাফ, দৌলতখান প্রতিনিধি:
ভোলার দৌলতখানে প্রতিবন্ধী যুবতীকে মোবাইলের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষন করা হতো নিয়মিত এমনই অভিযোগ পাওয়া গেছে ধর্ষিতার পরিবার সূত্রে।
সোমবার (১ জুন) তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ঐ প্রতিবন্ধী যুবতীর অবৈধ গর্ভপাত ঘটানো হয়েছে দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
ধর্ষিতা, হোসনে আরা (২০) ইশারায় বলেন, সুজন (২৮) প্রতিনিয়ত তাকে ধর্ষণ করতো এবং ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা করে অবৈধ ভাবে তাকে গর্ভপাত করায়।
হোসনে আরার পিতা শওকত আলী (৭০) বলেন, তার মেয়েকে কাজ করার নাম দিয়ে নিয়ে প্রতিনিয়ত এইভাবে ধর্ষণ করা হতো।
পারিশ্রমিক হিসাবে পেত না কোন টাকা বরং তাকে নানা ধরনের নির্যাতন করা হতো বলে অভিযোগ করছে তার পিতা শওকত আলী।
তার বড় বোন আয়শা (৪৫) বলেন, কিছু দিন যাবত ছোট বোনের শারিরিক পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছিলো। এতে করে তারা মেয়েটির কাছে জানতে চায়। সে জানায় সুজন (৩০) পিতা আঃ মালেক, চরখলিফা ৯ নং ওয়ার্ডের হাজারি বাড়ি। তাকে ৩ মাস আগের থেকে ধর্ষণ করে আসছিলো সুজন।
তিনি আরো জানান,গত রবিবারে আশেপাশের বিভিন্ন মানুষ যখন বলাবলি করে তখন তারা এই বিষয়টি জানতে পারে।পরে সোমবার (১জুন) সুজনের পরিবারের জুয়েল (বড় ভাই), শাহাবুদ্দিন (মামা), সাইফুল, রুনা,জেসমিন(জুয়েলের স্ত্রী) চাপ প্রয়োগ করে হোসনে আরা ও আয়শাকে নিয়ে হাসপাতালে যায়।
পরে দৌলতখান হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স নুসরাতের বাসায় হোসনে আরার অবৈধ গর্ভপাত করায়। জানা যায়, সোমবার বেলা ২ টায় ৫ হাজার টাকা কন্টাক্টে নার্স নুসরাত এই অবৈধ গর্ভপাত করায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হোসনে আরার বিষয়টি জানাজানি হলে একাধিক বার ঘরোয়া ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
সুজনের মামা ও বড় ভাই ৩৫ হাজার টাকা দেওয়ার নাম করে এই বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায়। পরবর্তিতে সুজন এর বড় ভাই জুয়েল সকালে প্রতিবন্ধি মেয়েটির ঘরে ডুকে ভাংচুর করে ও মেরে ফেলার হুমকি দেয়। একপ্রকার তাদের ভয়ে বাধ্য করে।
একই বাড়ির হওয়ার কারনে অসহায় মেয়েটির পরিবারকে চোখে চোখে রাখে যাতে তারা কোন ধরনের আইনি সহায়তা না নিতে পারে। সুজন ও তার বড় ভাই জুয়েলের মামা সাহাবুদ্দিন কে নিয়ে পুরো বিষয়টি ধামা চাপাদিতে তৎপর। সাহাবুদ্দিন ভুক্তভোগি পরিবারটিকে টাকার প্রলভন দেখিয়ে অবৈধ গর্ভপাত এর ঘটনাটি সম্পর্ন করে।
জানা গেছে, ভুক্তভোগি পরিবারটিকে ভয় দেখানো হচ্ছে প্রতিনিয়ত যাতে তারা মুখ না খুলে।