দেশে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল আছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
অর্থ ডেস্ক: বিভিন্ন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জনগণের পকেট কাটার অভিযোগের মধ্যে দেশে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রয়েছে বলে দাবি করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি জানিয়েছেন, সরকারের সময়োচিত ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হয়েছে। আগামীতেও যাতে বাজারে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সে লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান আছে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এদিন একাধিক সংসদ সদস্য দ্রব্যমূল্য নিয়ে মন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন।
গত রোববার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে, দেশে গত আগস্টে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশে পৌঁছেছে। জুলায়ে যা ছিল নয় দশমিক ৭৬ শতাংশ।
গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাজারে যেন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সেই জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিয়মিত মনিটরিং করছে। বাজারে সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে আমদানিতে বাধা দূর করা, শুল্ক হার কমানো, গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা, বন্দরে দ্রুত খালাস নিশ্চিত করা, এলসি অনুযায়ী পণ্য আমদানি তদারকিসহ সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চিনি ও ভোজ্যতেলের ওপর আরোপকৃত শুল্ক হার আরও যৌক্তিক করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ করা হয়েছে।’
টিপু মুনশি বলেন, ‘নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য পরিবহনে রাস্তাঘাটে যাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয়, সে জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।’
তবে আরেক প্রশ্নের জবাবে কিছু কিছু জিনিসের দাম বাড়ার কথা স্বীকার করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি, ডলারের মূল্য বৃদ্ধি ও চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আমদানিনির্ভর নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। যার প্রভাব গরম মসলাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যের ওপর পরিলক্ষিত হচ্ছে।’
আওয়ামী লীগের আরেক সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০২২-২৩ অর্থবছরে বর্তমানে ভারত, চীন ও পাকিস্তানসহ সার্কভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে মোট বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ২৩ হাজার ৭৭ দশমিক ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।’