ত্বক ও চুলের সমস্যা সমাধানে ভিটামিন ই
সকালের ডাক ডেস্ক
ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য রূপচর্চার পাশাপাশি অবশ্যই ভিটামিন ‘ই’ গ্রহণ করতে হবে। এটি ত্বকে জল যোজন করে এবং বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যবহারে চুল ও ত্বকে অবিশ্বাস্য ভাবে কাজ করে। সবধরনের ত্বক ও চুলের যেকোনো সমস্যায় ভিটামিন ‘ই’ বেশ কার্যকরী।
চুল পড়া:
চারপাশে দূষণের কারণে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি চুল পড়ে যায়। এমনকি চুলের সতেজতাও নষ্ট হয়ে যায়। নারকেল তেলের সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল মিশিয়ে নিন। সপ্তাহে দুইবার মাথার ত্বকে লাগিয়ে নিন। ভিটামিন ই মাথার ত্বকে পুষ্টি যোগায় এবং খুশকির মতো বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে।
বলিরেখা:
ভিটামিন ই তেল প্রাকৃতিক ভাবে বয়সের ছাপের বিরুদ্ধে কাজ করে। বয়সের ছাপের চিহ্ন হচ্ছে চোখের নিচে বলিরেখা। ভিটামিন ই ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু ভিটামিন ই ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু পুনরুদ্ধার করে এবং এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ রাখে।
ফাটা ঠোঁট:
নিয়মিত ভিটামিন ই সমৃদ্ধ লিপবাম ব্যবহার করুন। এতে হাইড্রেটের কাজ করে ঠোঁট ফাটার হাত থেকে সুরক্ষিত রাখে। যাদের ঠোঁট কালো তারা নিয়মিত এই তেল ব্যবহারে অনেক উপকারিতা পাবেন।
ক্ষত:
ভিটামিন ই’তে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সাইড থাকে। যা ত্বককে প্রাকৃতিক ভাবে সতেজ থাকতে সাহায্য করে। ত্বকের কোন অংশে ক্ষত দেখা দিলে সেখানে ক্যাপসুলের অর্ধেক কেটে সরাসরি ক্ষতস্থানে লাগাতে হবে। দেখবেন ক্ষত দ্রুত সেরে যাবে। ভিটামিন ই ত্বকে কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে।
হাইপারপিগমেন্টেশন:
মেলানিয়ামের পরিমাণ বেড়ে গেলে ত্বক অমসৃণ হয়। আক্রান্ত স্থানে ভিটামিন ই লাগান। দেখবেন ধীরে ধীরে সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে।
শুষ্ক হাত:
হাত যদি সব সময় শুষ্ক থাকলে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ তেল বেশ কার্যকরী। তেলে সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল কেটে তেলটি সরাসরি হাতে লাগিয়ে নিন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক সজীব হয়ে উঠবে।
সূর্যের ক্ষতি:
ভিটামিন ই ত্বকে কোলাজেন সরবরাহ করে এবং দ্রুত নতুন কোষ উৎপাদনে সহায়তা করে। এটি সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষা করে। সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহারের আগে ত্বকে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল লাগিয়ে নিন।