ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশের পোশাকশিল্প

নিউজ ডেস্ক

করোনা ভাইরাসের মহমারীর কারণ দেখিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে বহু ক্রয়াদেশ বাতিল করেছে। এতে হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে যায়। কিন্তু এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সময়ের প্রয়োজন মেটাতে বাংলাদেশের পোশাকখাত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল পরিমাণ মেডিক্যাল গাউন, গ্লাভসের মতো স্বাস্থ্য-সুরক্ষা উপকরণ রপ্তানি করেছে তারা। ২৭ জুন এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করে আরব নিউজ।

করোনার কারণে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ইতোমধ্যেই কাজ হারিয়েছেন লাখ লাখ পোশাকশ্রমিক। সেখানে, ঢাকার অদূরে সাভারের কিছু কারখানায় এখনো সপ্তাহে ছয়দিন দৈনিক আট ঘণ্টা করে শ্রম দিচ্ছেন হাজার হাজার পোশাককর্মী। তবে ফ্যাশন উপকরণ নয়; বরং বিশ্বজুড়ে চাহিদার শীর্ষে উঠে আসা ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণ (পিপিই) উৎপাদনে ঘাম ঝরাচ্ছেন তারা। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ৬৫ লাখ মেডিক্যাল গাউন রপ্তানি করেছে বেক্সিমকো। চলতি বছরেই অন্তত ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের সুরক্ষা উপকরণ রপ্তানির লক্ষ্য রয়েছে তাদের।

এ বিষয়ে বেক্সিমকোর প্রধান নির্বাহী নাভেদ হুসাইন জানান, ‘আমরা গত ফেব্রুয়ারিতেই এটিকে (করোনা মহামারী) সুযোগ হিসেবে দেখতে পাই এবং তাৎক্ষণিকভাবে পিপিই উৎপাদন শুরু করি। এখন আমাদের ৪০ হাজার কর্মীর প্রায় ৬০ শতাংশই পিপিই তৈরিতে নিযুক্ত। করোনা ভাইরাস গোটা বিশ্বকেই বদলে দিয়েছে।’ গত দুই দশকে গার্মেন্টস শিল্পে অভূতপূর্ব উন্নয়নের ফলে ইতোমধ্যেই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। প্রায় ১৪০ কোটি জনসংখ্যার দেশ চীনই একমাত্র বাংলাদেশের ওপরে রয়েছে।

করোনা ভাইরাস মহামারীর আগে বাংলাদেশের চার হাজার কোটি ডলার বার্ষিক রপ্তানির প্রায় ৮০ ভাগই এসেছে গার্মেন্টস শিল্প থেকে। এ শিল্পে কাজ করছে দেশের প্রায় ৪০ লাখ মানুষ, এদের সিংহভাগই গ্রামের দরিদ্র নারী। তবে মহামারীর কারণে গত এপ্রিলে পণ্য রপ্তানি একলাফে কমে যায় প্রায় ৮৪ শতাংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shares