গার্মেন্টস শিল্পে অস্থিরতা বাড়ার আশঙ্কা
নিউজ ডেস্ক:
বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে রাস্তা অবরোধসহ আন্দোলন বিক্ষোভে শামিল হচ্ছেন গার্মেন্ট শ্রমিকরা।
এপ্রিল মাসের বেতন তো দূরের কথা, অনেকে এখনও মার্চ মাসের বেতন পাননি। এর মধ্যে কমপ্লায়েন্স প্রতিপালনের শর্ত হিসেবে মাসের সাত কার্যদিবসের মধ্যে আগের মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধ করার কথা।
কিন্তু বাস্তবতা হল, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ প্যাকেজের অর্থ কোনো গার্মেন্ট মালিক বা শ্রমিক পাননি।
ইতোমধ্যে মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পার হয়েছে। তাই শ্রমিক-কর্মচারীদের সময়মতো বেতন-ভাতা দেয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন বেশির ভাগ শিল্প মালিক। এর মধ্যে বড় সংকট হয়ে দেখা দিয়েছে সাব-কন্ট্রাক্টে থাকা প্রায় ৪ হাজার কারখানা।
এসব কারখানা বিজিএমইএ সদস্য নয়। ফলে ঋণ প্যাকেজ থেকে এখানে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পাওয়ার সুযোগ নেই। এই যখন অবস্থা তখন ঈদের আগে বেতন-ভাতার দাবিতে শ্রমিকদের চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ বড় পরিসরে রাস্তায় গড়াতে পারে।
এমন শঙ্কার বিষয়টি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে। এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গার্মেন্ট সেক্টরের ১০ জন নেতা শ্রমিকদের উসকে দিয়ে রাস্তায় নামানোর চেষ্টা করছেন।
এদিকে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত গার্মেন্টের পরিসংখ্যান নিয়েও রয়েছে নানান বিভ্রান্তি। বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে মুখে যা বলা হয়, বাস্তবের সঙ্গে তার কোনো মিল নেই।