ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চায় শেখ কামালের অবদান অনস্বীকার্য:  যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী 

নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে যুব সমাজকে স্বাভাবিক জীবন ও বিশৃংখলা থেকে ফিরিয়ে এনেছিলেন। তাই ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চায় শেখ কামালের অবদান অনস্বীকার্য। শেখ কামালের বিরুদ্ধে একদল কুচক্রী মহল যুগে যুগে অপপ্রচার চালিয়ে গেছে। শেখ কামালের অবদানকে নেতিবাচকভাবে তারা উপস্থাপন করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার পাঁয়তারা চালিয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে শেখ কামাল ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের একজন মহান সংগঠক, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিনুরাগী। তিনি বিশৃঙ্খলমুক্ত দেশ গড়তে কাজ করে গেছেন। স্বাধীনতার পর শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াঙ্গনে নতুন জোয়ার এনেছিলেন তিনি। আজকের গতিশীল, প্রযুক্তিগত উন্নয়নের বাংলাদেশে তার অবদান অনস্বীকার্য বলে মন্তব্য করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী শিক্ষক ফোরামের যৌথ উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠপুত্র ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল—এর ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ১৩ আগস্ট ২০২৩, রবিবার সকাল ১১.০০ টায় বাউবির গাজীপুরস্থ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সম্মেলন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে “সংস্কৃতিমনা ও ক্রীড়ানুরাগী তরুণ প্রজন্মের আদর্শ শেখ কামাল” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ও মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে বাউবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, আজও দেশ বিদেশে শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, মেধা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে দক্ষ নাবিকের মতো দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ, তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষ যুব সমাজ এবং জাতির ভাগ্যোন্নয়নে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন ড. হুমায়ুন আখতার।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাউবির প্রো—উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. নাসিম বানু, ট্রেজারার অধ্যাপক মোস্তফা আজাদ কামাল।

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. কেএম রেজানুর রহমান ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ড. মো. শহীদুর রহমান। আলোচনা সভায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন রেজিস্ট্রার ড. মহা: শফিকুল আলম। সভায় বিভিন্ন স্কুলের ডিন, পরিচালক, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বাউবির শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন বাউবির বিভিন্ন আঞ্চলিক ও উপ—আঞ্চলিক কেন্দ্রের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ। সঞ্চালনায় ছিলেন বাউবির সহকারী অধ্যাপক মো: মশিউর রহমান ও টুম্পা রানী দে। মাননীয় উপাচার্য প্রধান অতিথিকে নিয়ে বাউবি ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা চিরন্তন স্বারক ভাস্কর্যে পুস্পার্ঘ অর্পণের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়াও শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষ্যে বাউবি ক্যাম্পাসে রেডক্রিসেন্ট এর সহযোগিতায় দিনব্যাপী রক্তদান কর্মসূচি পালন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shares
Verified by MonsterInsights