কক্সবাজারে কৃষকের পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে দিল ছাত্রলীগ

কক্সবাজার প্রতিনিধি:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদেশক্রমে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য এর নির্দেশনায় কৃষকের এই ক্রান্তিলগ্নে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ফারির বিল এলাকায় দুই কৃষকের ২ বিঘা জমির পাকা ধান কেটে ঘরে পৌঁছে দিল কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ। 

মহামারি করোনা ভাইরাসের আতংকে পুরো দেশ।প্রাণ বাঁচানোর তরে ঘরবন্দি সর্বস্তরের মানুষ। পেটে খাবারের  টান পড়লেও শ্রমজীবী মানুষ প্রাণের ভয়ে বাহির হচ্ছে না।এতে ধান কাটার সময়ে শ্রমিক সংকটে পাকা ধান ঘরে তুলতে না পারার চরম দুশ্চিন্তায় কৃষক প্রতিবন্ধী করিম ও বিধবা নারী কালা বানু। কোন উপায় না পেয়ে হতাশায় ভুগছেন এই দুই কৃষক।

এই দুই কৃষকের দুর্দিনে নিজেদের প্রাণের মায়া ত্যাগ করে লকডাউন উপেক্ষা করে পাশে এসে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসাইন।  আনোয়ার হোসাইন করোনার ঝুঁকি এড়িয়ে আরো ৩০ জন নেতাকর্মীকে সাথে নিয়ে ধান কাটতে চলে গেলেন পালংখালী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ফারির বিল এলাকায় কৃষক প্রতিবন্ধী করিম ও বিধবা নারী কালা বানুর পাকা ধানের মাঠে এবং কাস্তে হাতে নেমে পড়েন ধান কাটতে।
২৩ এপ্রিল(বৃহস্পতিবার)জেলা ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসাইন ছাত্রলীগর ৩০ জন নেতাকর্মীকে নিয়ে সকাল ৭টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ওই দুই কৃষকের দুই বিঘা জমির পাকা ধান কেটে ঘরে পৌঁছে দিলেন।  

কৃষক প্রতিবন্ধী করিম ও বিধবা নারী কালা বানু বলেন, চৈত্রের ধান পাকার এই সময়ে আমাদের ২বিঘা জমির ধান পেকে গেছে। কিন্তু করোনার ভাইরাসের কারণে কোন শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না।অনেক চেষ্টা করেও কোনো শ্রমিক যোগাড় করতে পারিনি।এদিকে ধান পেকে নষ্ট হওয়ার উপক্রম। এতে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়ি। আজ দেখলাম হঠাৎ একদল যুবক এসে আমাদের মাঠের পাকা ধান কাটছে। তারা ধান কাটতে নামার পরই আমি খবরটি পাই।তারা সকাল ৭টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দুই বিঘা জমির পাকা ধান কেটে পরে বাড়িতেও পৌঁছে দেন। এতে আমরা অনেক খুশি হয়েছি।

এ প্রসঙ্গে জেলা  ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসাইন  বলেন,বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন। দেশের যেকোন ক্রান্তিলগ্নে ছাত্রলীগ প্রধান ভূমিকা রেখেছে। সব সময় সাধারণ মানুষের স্বার্থের জন্যই রাজনীতি করে এসেছে। দেশ রক্ষার আন্দোলন ছাড়াও ব্যক্তি পর্যায়েও সব সময় ক্ষতিগ্রস্হ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বর্তমানেও আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সব সময় এমন নির্দেশনা দিয়ে রেখেছেন।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে শ্রমিক সংকটে পাকা ধান কাটতে না পারার খবর পেয়ে আমি পালংখালী ইউনিয়নের ছাত্রলীগের ৩০ জন নেতাকর্মীকে সাথে নিয়ে কৃষক প্রতিবন্ধী করিম ও বিধবা নারী কালা বানুর পাক ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। এই মহৎ কাজ করতে পেরে আমরা অনেক আনন্দিত ও গর্বিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shares