অভিনয়ে ফিরতে চান শবনম
বিনোদন ডেস্ক
দেশীয় চলচ্চিত্র থেকে দীর্ঘদিন ধরে দূরে থাকলেও অভিনয় করার আকাঙ্ক্ষা এখনো মনের মধ্যে পুষে রেখেছেন ‘নাচের পুতুল’খ্যাত নায়িকা শবনম।
কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘আম্মাজান’ সিনেমাতে অভিনয়ের পর বিগত প্রায় ২২ বছরে আর কোনো নতুন সিনেমাতে দেখা মেলেনি তার। এই ২২ বছরে অসংখ্য ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পেলেও কোনোটাই মনের মতো ছিল না বলে জানান খ্যাতিমান এ অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘যেকটি সিনেমাতে তিনি অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছেন কোনো সিনেমার গল্পই মৌলিক নয়, পাশাপাশি তাকে নিয়ে যে চরিত্রটি লেখা হয় সেটাও ভালো লাগেনি তার।’ মাঝখানে ‘খোদার পরে মা’ সিনেমাতেও অভিনয়ের কথা প্রায় পাকাপাকি হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু শেষতক তিনি জানতে পারেন এই সিনেমার গল্পও মৌলিক নয়। যে কারণে এই সিনেমাতে অভিনয় থেকেও তিনি সরে দাঁড়ান। মনের মতো গল্প ও চরিত্র পেলে ফের ক্যামেরার সামনে আসতে রাজি আছেন তিনি।
অভিনয় জীবনের দীর্ঘ একটি সময় তিনি পাকিস্তানের সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। সেখানকার দর্শকের কাছে এক মহান নায়িকার নাম শবনম। সেখানে সিনেমাতে অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন সর্বোচ্চ ১১ বার নিগার অ্যাওয়ার্ড। কিন্তু এখনো শবনম বাংলাদেশের সিনেমায় কাজ করার জন্য প্রবল আগ্রহী। শবনম বলেন, ‘সত্যি বলতে কী, শিল্পী জীবনের কিন্তু কোনো অবসর নেই। তাই এখনো আশায় বুক বেঁধে আছি, হয়তো কোনো একদিন একটি ভালো গল্পের সিনেমায় অভিনয় করতে পারব। একটি মৌলিক গল্পের সিনেমায় খুব ভালো একটি চরিত্রে অভিনয় করতে পারব। ‘আম্মাজান’ আমার অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা। এটি যেমন দর্শকের কাছে মাইলফলক হয়ে আছে। আমার বিশ্বাস যদি ভালো গল্পে অভিনয় করার সুযোগ মিলে, তবে সেই সিনেমাও মাইলফলক হবে। তবে কষ্টের কথা হচ্ছে দিন দিন সিনেমা হলের সংখ্যা কমেই যাচ্ছে। কী যে হবে, আমাদের আগামী দিনের সিনেমা ইন্ডাস্ট্র্রি, তা একমাত্র ঈশ্বরই জানেন।’
এদিকে পাকিস্তানে একটি টিভি সিরিয়ালে কাজ করছিলেন শবনম। কিন্তু আপাতত সেই সিরিয়ালের কাজও বন্ধ আছে। কথা ছিল পাকিস্তানের একটি সিনেমাতেও কাজ করার। তার নিজের অভিনীত একটি সিনেমার রিমেক’এ অভিনয়েরও কথা ছিল। কিন্তু আপাতত সব প্রোজেক্টরই কাজ স্থগিত আছে। করোনার এই দিনগুলোতে শবনম রাজধানীর বারিধারাতে নিজের বাসাতেই অবস্থান করছেন। খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া একেবারেই বাসা থেকে বের হচ্ছেন না।